বিএনএসঃ
বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস স্থাপন এবং ঢাকা-বাকু সরাসরি ফ্লাইট চালুর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ উদ্যোগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।
তিনি আরও জানান, দূতাবাস স্থাপন হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা কমবে এবং বাংলাদেশে আজারবাইজানের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে, যা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকই তরুণ। যদি আজারবাইজান এখানে শিল্প স্থাপন করে, তাহলে দক্ষ জনশক্তির কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কৌশলগত সম্পর্ক
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাম্মাদভ জানান, আগামী দুই বছরে ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে, যা সম্পর্ক আরও গভীর করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তিনি আসান ও ডোস্ট মডেলের ধারণা তুলে ধরেন, যা জনসেবায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যকর প্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের আমন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই বৈঠক দুই দেশের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।