বিএনএস:
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ দ্রুত ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিডা, বেজা এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যারা আমাদের পোর্টগুলোকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা প্রদান করতে পারে।’
বৈঠকে বিডা এবং বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন ইউনিট এবং মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেল করতে সক্ষম। সঠিক উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এই সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন এবং ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।
এছাড়া, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদীয়া কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি পাঁচ মিলিয়নের বেশি ইউনিটে উন্নীত হবে। লালদীয়া বন্দরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
প্রফেসর ইউনূস সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে লালদীয়া বন্দরের কাজ আগামী আগস্টের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।