আরিফুল ইসলাম মুরাদঃ
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত গৃহবধূরা হলেন- কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের শিংপুর গ্রামের এহসানুল হক মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী লিজা আক্তার এবং লেংগুরা ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নুরুন্নাহার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ মাস আগে লিজা আক্তারের সঙ্গে এহসানুল হক মিলনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কলমাকান্দা শহরের মধ্য বাজারে ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকতেন লিজা। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে লিজা আক্তারের সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা নুরুন্নাহার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সাহরি খাওয়ার জন্য নুরুন্নাহারের শাশুড়ি ডাক দিলে তার স্বামী ঘুম থেকে উঠেন। বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।