বর্তমান সময়ে দেশের সংবাদমাধ্যমে রাজনীতিকরণ ও পক্ষপাতিত্ব নিয়ে যে বিতর্ক ও উদ্বেগ চলছে, তাতে নাগরিক সমাজ, বিশ্লেষক ও তরুণ সাংবাদিকরা এক কণ্ঠে বলছেন—সাংবাদিকতা হোক রাজনীতি মুক্ত। তারা বলছেন, গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব হলো সত্য অনুসন্ধান এবং জনগণকে তথ্য দিয়ে সচেতন করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেক সংবাদমাধ্যম আজ রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “সংবাদ পরিবেশন যেন রাজনৈতিক প্রচারণায় রূপ না নেয়।” গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট দূর করতে হলে প্রথমেই সাংবাদিকদেরকে দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। দেশের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, সাংবাদিকতা কোনো দলের না, সাংবাদিকতা জনগণের।
বিশিষ্ট মিডিয়া বিশ্লেষক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, “যখন সাংবাদিকতা রাজনীতির হাতিয়ার হয়, তখন সত্য হারিয়ে যায়, পক্ষপাত জায়গা করে নেয়। এতে শুধু সাংবাদিকতা নয়, গণতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
নাগরিক সমাজের দাবির সাথে একমত পোষণ করে অনেক তরুণ সাংবাদিক বলেছেন, তারা একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও #রাজনীতিমুক্তসাংবাদিকতা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে একধরনের আন্দোলন গড়ে উঠছে।
অতএব, এখনই সময় সাংবাদিকতা পেশাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে এর আসল উদ্দেশ্য—জনসেবা ও সত্য প্রকাশ—নিশ্চিত করার। একমাত্র তবেই গণমাধ্যম হয়ে উঠতে পারে সত্যিকারের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’।
শেষ কথা:
নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা—এই দুই স্তম্ভের ওপর দাঁড়াতে পারে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম। সাংবাদিকতা রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হলে তবেই সমাজে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
লেখকঃ মুহম্মদ মনজুর হোসেন
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ দৈনিক সমতল
চেয়ারম্যানঃ বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট-বিএনএস