Catagory

Monday, April 14, 2025

ঈদকে সামনে রেখে লক্কর-ঝক্কর বাস মেরামতের হিড়িক।

Date:

সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঈদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রীচাপ বাড়বে, তাই সড়কপথে পুরানো বাস মেরামত করে নতুন করার হিড়িক পড়েছে বরিশালে। মহাসড়কে লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচলের অভিযোগ তুলে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ দাবি করছেন। ঈদকে সামনে রেখে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে লক্কর-ঝক্কর পুরানো বাসগুলো নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে। কেউ রং করছেন, কেউ মেরামত করছেন, এ যেন পুরানোকে নতুন করে গড়ার মহাউৎসব। আগামী ২৬ রমজান পর্যন্ত এ কাজ শেষ করার তাগিদে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ বছর ঈদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথের তুলনায় সড়কপথে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকার সম্ভাবনা থাকায় বাস মালিকরা পুরানো বাসগুলো মেরামত করে সড়কে নামানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা। তাদের দাবি, ঈদে সড়কপথে যাত্রীচাপ বেড়ে যাওয়ায় ফিটনেসবিহীন বাস নামানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন জানান, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে বরিশালে এখন মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। এ কারণে সড়কে যাত্রীচাপ বাড়ায় বেড়েছে বাসের সংখ্যা। ঈদে এই চাপ কয়েকগুণ বাড়ে। কিন্তু সড়কে অধিকাংশ পুরানো, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল করছে। প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তার। এছাড়া, সড়কে থ্রি হুইলার চলাচল এবং রাতে ডাকাতির ভয় নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিকরা। তবে, বরিশালের নগর পুলিশ প্রধান শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য তৎপর রয়েছে এবং র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক নিস্তার আহমেদ জানিয়েছেন, হাইওয়েতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে যাতে কেউ অপরাধে লিপ্ত হতে না পারে।
এদিকে, নদীপথে যাত্রীচাপ কমেছে। সরকারি নৌযান বিআইডব্লিউটিসির সার্ভিস না থাকায় এবং বেসরকারি লঞ্চ মালিকরাও যাত্রীচাপ কম থাকার কথা জানিয়েছেন।
পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদকে ঘিরে বরিশালে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছেন তারা।
বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এবং রূপাতলী টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে।
সাব্বির আলম বাবু
বিশেষ প্রতিনিধি
০১৭১৬২৯৪৪১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

এসো হে বৈশাখ এসো-মোঃ রাব্বী মোল্লা

বিএনএসঃ বাংলাদেশে বছরে বারোটি মাস পালাক্রমে আসে যায়। এই আসা...

কালিহাতীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ব্যবসায়ী আটক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রাজাবাড়ি রেল গেইট এলাকায়...

বৈশাখ মিশে আছে বাঙালির হৃদয়ে-অন্তরে: গনি মিয়া বাবুল 

বিএনএসঃ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ, চৈত্রের শেষ বৈশাখের শুরু। এই শেষ চৈত্র আর পহেলা বৈশাখ নিয়ে যে উৎসব আয়োজন, তা বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি। বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিন। মোঘল সম্রাট আকবর তার শাসনামলে ফসলের খাজনা তোলার সুবিধার্থে বাংলা বছরের হিসাব শুরু করেন। সেই থেকে বাংলা নববর্ষ বরণ শুরু হয়। পহেলা বৈশাখ ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকল সম্প্রদায়ের এক মিলনের স্মারক। সময় পরিক্রমায় নববর্ষ আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির জীবনের সার্বজনীন সবচেয়ে বড় উৎসবে। বাঙালি জাতি সারাটা বছর অধীর আগ্রহে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। পহেলা বৈশাখ প্রকৃতির নিয়মে ঘুরে আসে। দেশজ সংস্কৃতি প্রভাব বিস্তার করে একটা সুস্থ ও সচেতন মানস গঠনের দায়িত্ব নেয়। সংস্কৃতির মধ্যে অবগাহন করেই মানুষ নিজের ব্যক্তিত্বের স্পষ্ট একটি রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেন। নিজের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা যে কোন জাতিকে বড় হওয়ার প্রাথমিক দীক্ষা দেয়। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষ একটি সচেতন প্রতিফলন। মূলত বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। সচেতন জাতির পরিচয় প্রকাশিত হয়, বিচিত্র সাংস্কৃতির রূপের মধ্য দিয়ে। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির সেই পরিচয়বাহী। নববর্ষ মানুষকে সচেতন করে তার সাংস্কৃতিক চেতনার স্বপন্দনে। জাতীয় জীবনে বর্ষ বরণের প্রথম দিনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অর্থ নতুনকে বরণের সাগ্রহ মনোভাব। বাঙালি একটি ভাষাভিত্তিক জাতি। যাদের জন্ম বঙ্গে, মাতৃভাষা বাংলা, মূলত তারাই বাঙালি। এই বাঙালির বড় উৎসব বাংলা নববর্ষ। বিগত বছরের দুঃখ, বেদনা, আনন্দ, উৎসবের স্মৃতিচারণ পরিহার করে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। বৈশাখে উৎসবের ঢল নামে। মেলা বসে গ্রামে গ্রামে। নানা ধরনের হাতের তৈরী দ্রব্য ও খাবারের মেলা যেন গ্রামবাংলার মানুষের প্রতিচ্ছবি। তাদের জীবন যেন গ্রামবাংলার মানুষের প্রতিচ্ছবি। তাদের জীবন যেন খন্ড খন্ড হয়ে ধরা পড়ে তাদের হাতের কারু কাজে। মাটির পুতুল, পাটের শিখা, তালপাতার পাখা, সোলার পাখি, বাঁশের বাঁশি, ঝিনুকের ঝাড়, পুঁতিমালা, কত না অদ্ভুত সব জিনিসের সমাবেশ ঘটে সে মেলায়। চোখে না দেখলে যেন বিশ্বাসই হয় না বাংলার মানুষের জীবন এত সমৃদ্ধশালী। বাংলার মানুষ গরীব হতে পারে, দারিদ্র্যের নিস্পেষণে তারা জর্জরিত হতে পারে কিন্তু এসব দুঃখ কষ্ট তাদের জীবনকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। নববর্ষ বছরটির জন্যে আশার বাণী বহন করে নিয়ে আসে। তাই নববর্ষ আমাদের প্রাণে জাগায় আশার আলো ও উদ্দীপনা। এ জন্য আমাদের কাছে পহেলা বৈশাখ, পারসিকদের কাছে নওরোজ এবং ইংরেজদের কাছে Happy New Year বিশেষ আনন্দময় দিবস। বাঙালি জীবনে যেমন ছিল পূণ্যাহ অনুষ্ঠান তেমনি হালখাতা অনুষ্ঠান। জমিদারি প্রথা বাতিলের সাথে পূণ্যাহ অনুষ্ঠান বিলুপ্ত হয়েছে কিন্তু হালখাতা অনুষ্ঠান সগৌরবে বিরাজমান। নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে উদযাপিত হয় হালখাতা উৎসব। বিগত বছরের ধার-দেনা শোধের পর্ব শুরু হয় এই দিনে। এর মধ্যে শুধু ব্যবসায়িক লেনদেন নয় হৃদয়ের বিনিময়ও ঘটে। ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যতা বাড়ে। আজকাল পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বিশেষ করে নাগরিক জীবনে। শহরে শহরে মুক্তাঙ্গণে কবিতা পাঠ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি কর্মসূচী পালিত হয়। ঢাকায় রমনার বটমূলে এই অনুষ্ঠান বিশেষ ব্যাপকতা লাভ করেছে। শুধু নাচ-গানই নয়, বাঙালির বহুকালের অভ্যাস, পান্তা ভাত ও ইলিশ ভাজি খাওয়া ওখানে চালু আছে বহু বছর থেকে। বৈশাখের তথা বাংলা নববর্ষের চেতনা বাঙালির হৃদয়ে অন্তরে মিশে আছে, কিন্তু পরিতাপের বিষয় বাংলা নববর্ষের ব্যবহারিক প্রয়োগ আমাদের জীবনে প্রায় অনুপস্থিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা সন কিংবা বাংলা তারিখের ব্যবহার নেই বললেই চলে। স্কুল, অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা, বিদেশ ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ ইত্যাদি কোন পর্যায়েই বাংলা তারিখ ব্যবহৃত হয় না। পৃথিবীর বুকে একমাত্র যে দেশের মানুষ তাদের ভাষা রক্ষার জন্যে আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে, যে দেশে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ পালিত হয় জমজমাট পরিবেশে, আনন্দঘন উৎসবে। সে দেশেই বাংলা সন ও বাংলা তারিখ উপেক্ষিত! এই অবস্থায় পহেলা বৈশাখের চেতনা তথা বাঙালির সংস্কৃতি আমাদের আদালতসহ দেশের সর্বত্র চালু করা প্রয়োজন। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ও বাংলা তারিখ ব্যবহার করা অপরিহার্য। লেখক: লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল (শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, প্রাবন্ধিক ও সমাজ সেবক)

সংস্কার চলতে থাকবে, নির্বাচন যথাসময়ে: তারেক রহমান

বিএনএস অনলাইনঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কার একটি...