নিউজ ডেস্কঃ
সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম । একজন সমাজ সেবক হিসেবে এলাকায় লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম বিশেষ পরিচিতি লাভ করছেন। তিনি তার এলাকায় একজন সৎ, ন্যায়, নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক হিসেবে সর্বোপরিচিত। এলাকার সর্বত্রই এখন আলোচনা এই তরুন সমাজসেবককে নিয়ে।
বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড খাস মহেশপুর (ডহর কোলা) গ্রাম হাওলাদার বাড়ীর কৃতি সন্তান মৃতঃ মো. আশরাফ আলী হাওলাদারের সুযোগ্য পুত্র লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি গ্রামের মক্তব তথা পাঠশালায়শিক্ষা জীবনে হাতেখড়ি তারই ধারাবাহিকতায় স্কুল, জীবন শেষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে এম.এস.এস ডিগ্রী লাভ করেন । এরপর ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন ।
লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম শুধু একজন সমাজ সেবক নয়, একজন সফল ব্যবসায়ী বটে। রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত “আশরাফ গ্রুপ” কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। নিজের প্রচেষ্টায় তিল তিল করে গড়ে তোলা আশরাফ গ্রুপ কোম্পানিটি আজ সাফল্যের দারপ্রান্তে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম (ক) আলফা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, (খ) রেডিয়্যান্ট কেমটেক কোম্পানী লিমিটেড, (গ) ডিভাইন গ্লোবাল বিজনেস লিমিটেড, (ঘ) আশরাফ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড । ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত হন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম , তার পিতা পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন তিনি সাধারণ গরিব অসহায় মানুষের জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। বাবার সেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম বাবার নামে একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা ‘আশরাফ ফাউন্ডেশন’ নামে পরিচিত এ ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমেই পরিচালনা করছেন প্রিয় কর্মকাণ্ড গরিব দুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা।এছাড়াও তিনি আজীবন সদস্যঃ নিয়ামতি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় , সভাপতিঃ ডহরকোলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ , প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যানঃ আশরাফ ফাউন্ডেশন , ডি.এম মেম্বারঃ উত্তরা মডেল ক্লাব লিমিটেড , জি.বি মেম্বারঃ এফ. বি. সি. সি. আই, পার্মানেন্ট মেম্বারঃ উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা লিবার্টি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল হয়ে এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছে ।
এই তরুন সমাজ সেবক ছেলেবেলা থেকেই ছিল পরোপকারী। প্রতীবেশীর দূক্ষ-দূর্দশা দেখে তার মন কেঁদে উঠতো। তিনি সবসময় ভাবতেন প্রতিবেশী অসহায় মানুষদের নিয়ে। নিজের খাবার একজন ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে তিনি তৃপ্তি পেতেন। লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম লেখা পড়া শেষ করে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার পর তিনি সংকল্প করেন। সাধারণ মানুষের সেবা করার। তাই ব্যবসায়ের লাভের টাকার একাংশ রাখেন সাধারণ মানুষের সেবায় বিলিয়ে দেবার জন্য।
তরুন এই সমাজ সেবক নিজ এলাকার মানুষের যেকোন সমস্যা সামনে পরলে তা তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী শতভাগ সমাধানের চেষ্টা করেন। এছাও তিনি এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই কিনে দেওয়া, লেখা পড়া করার খরচ দেয়া সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম অত্যন্ত বিনয়ী সমাজ সেবক ও মানবিক মানুষ, তার বাবার নামে একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা ‘আশরাফ ফাউন্ডেশন’ নামে পরিচিত এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণের এক জন অন্যতম সংগঠক ও মানবিক নেতা।সুশীল সমাজ, তরুন-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সুনাম।
এ ব্যাপারে এই তরুন সমাজ সেবক লায়ন মো. সাইদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সের জীব। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আমরা তাকে মানি অথচ তার পথকে অনুসরণ করিনা। আমাদের নবীও আটার বস্তা কাধে নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্য বিলিয়ে বেড়াতেন। আমি তার অনুসারী হয়ে কেন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসবোনা। মহান আল্লাহ আজ যেটা আমাকে দিচ্ছেন তাহা আমার একার নয়। আমার প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষও তার দাবীদার। আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে টাকা লাভ হয় তার একাংশ টাকা গরীব-দুঃখী এবং অসহায় মানুষের সেবায় ও এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছি, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন এই মানব কল্যাণের সেবামূলক কাজ যেন সবসময় করতে পারি । আমার দ্বারা যদি অন্যের কোন উপকার হয় বা আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারি তাহাই হবে আমার পরোপারের পাওয়া।
সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন সাইদুল
Date: