বিএনএস নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী এক ভিন্ন পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের নববর্ষে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে সম্প্রীতির বন্ধনের বছর হিসেবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ বছরের নববর্ষের মূল প্রতিপাদ্য, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’, যা দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে উদযাপন করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো সরকারও নববর্ষের একাধিক আয়োজনে যুক্ত হয়েছে।
নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। শোভাযাত্রায় থাকছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ। শোভাযাত্রার বড় আকর্ষণ হলো বিভিন্ন মোটিফ, যেমন- কাঠের বাঘ, শান্তির পায়রা, পালকি, এবং লোকজ চিত্রাবলি। এই আয়োজন দেশজুড়ে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেবে।
এদিকে রমনা বটমূলে দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপিত হবে। ছায়ানটের প্রতিপাদ্য ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ এবং বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পান্তা, ইলিশসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী থাকবে।
বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, গণ অভ্যুত্থানের পর নতুন সরকার সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং গণতন্ত্রকে নতুন মাত্রা দেবে। ১৪৩২ বঙ্গাব্দে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে দেশবাসী—এমন প্রত্যাশা রয়েছে।