যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, জাতিগত বৈষম্য, অভিবাসন নীতি, ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে দেশটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রে সবসময় আলোচনার বিষয়।
- ২০২০ সালে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (BLM) আন্দোলনের সময় বহু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা হামলার শিকার হতে হয়েছিল।
- রাবার বুলেট ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে দমন করার প্রচেষ্টা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
নির্যাতন ও গুয়ানতানামো বে
যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার গুয়ানতানামো বে আন্তর্জাতিক মহলে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
- বন্দিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ একাধিকবার জাতিসংঘের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
- দীর্ঘ সময় ধরে বিচারবিহীন বন্দিত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিবাসী সংকট ও আটক কেন্দ্র
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি অভিবাসীদের দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- অভিবাসীদের আটক কেন্দ্রে ভয়াবহ জীবনযাপনের পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে।
- শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি ব্যাপক মানবিক সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
জাতিগত বৈষম্য ও পুলিশের বর্বরতা
যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রো-আমেরিকান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ নতুন নয়।
- জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
- পুলিশের ভূমিকা ও বিচার ব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
আন্তর্জাতিক যুদ্ধ ও হস্তক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ একাধিকবার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটিয়েছে।
- ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া—বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযানের ফলে প্রচুর নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে।
- বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি তুলেছে।
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের বিশ্বনেতা হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করলেও, নিজস্ব নীতিগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকবার বিতর্ক উঠেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, জাতিগত ন্যায়বিচার, অভিবাসী নীতি ও সামরিক হস্তক্ষেপ—এসবই দেশটির ভূমিকার পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করছে।