নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ৩মাস যাবত বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেও মাসোহারা থেকে বঞ্চিত শিকার শিক্ষক ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এডহক কমিটি না থাকায় তারা বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ৩মাস যাবত বেতনভাতা না পাওয়ায় বাড়ী ভাড়াসহ দৈনিন্দন খরচাদি বহন করা দর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শিক্ষা দান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবিধানমালা অনুযায়ী এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলে মহানগরের ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় বেতনভাতার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন বেতন ভাতার প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। জানাযায় অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বিভাগীয় কমিশনার কে বেতনভাতা বকেয়া না রাখার ব্যাপারে তাগাদা দিয়ে কল করেন কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের দোহায় দিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের ফিরিয়ে দেন। এব্যাপারে জানতে চায়লে ড.জিয়াউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে প্রতিষ্ঠান সমূহে জটিলতাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের একটাতে বোতনভাতা দিলে অনেক প্রতিষ্ঠানের ভার আমাদের উপর বর্তাবে তাই আমরা শিক্ষা বোর্ডকে অনুরোধ করেছি যেন এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়ে দেয়। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড নানা কারণ দেখিয়ে এডহক কমিটির চিঠি ইস্যু না করলে আমার করার কি থাকে?
এদিকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ছরওয়ার আলম নিজেদের মত করে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের রূপ দিয়ে শিক্ষা বোর্ড পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন খোদ অত্র বোর্ডের জনৈক কর্মকর্তা।
সূত্রমতে, কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজসহ মহানগরীর অনেক প্রতিষ্ঠান এডহক কমিটি বিহীন রয়েছে। বোর্ড চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শকের একগুয়েমির কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত বলে জানিয়েছে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। তারা জানান জুলাই বিপ্লবের পর যে প্রিন্সিপাল দায়িত্ব নিয়েছে তার ২মাস অতিক্রম হতে না হতেই উড়ো চিঠির অভিযোগে তদন্তের নামে আমাদের বোতনভাতা বন্ধ করে দিয়েছে অথচ বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে প্রতিষ্টানেন লক্ষ লক্ষ টাকা আওয়ামী ফান্ডে দিলেও এযাবতকাল তার কোন তদন্ত কমিটি করা হয়নি। বরঞ্চ স্বৈরাচার সরকারের দোসর খ্যাত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের পক্ষে হয়ে তদন্তের নামে এডহক কমিটি দেয়া বন্ধ রেখেছে শিক্ষা বোর্ড।
অত্র প্রতিষ্টানের কয়েকজন শিক্ষক জানান, এডহক কমিটি ও বেতনভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালসহ শিক্ষকরা শিক্ষাবোর্ডে উপস্থিত হলে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কলেজ পরিদর্শক তাদের অকাথ্যভাষায় গালাগালি করেন বলেন বর্তমান প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেই এডহক কমিটি দেয়া হবে এবং শিক্ষক কর্মচারীদের বর্তমান প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য উসকে দিয়ে বলেন তোমরা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করো তাকে পদত্যাগ করাও তারপর এডহক কমিটি দেয়া হবে।
এবিষয়ে সত্যতা জানতে চায়লে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এডহক কমিটি দিব না। আগে প্রিন্সিপালকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেন। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে পারে কিনা জানতে চায়লে চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন আমি শোনিনি যে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ছরওয়ার আলম এভাবে গালাগাল করেছেন।
জানাযায়, আগামী কয়েক কর্মদিবসে বেতনভাতা না পেলে শিক্ষক কর্মচারীরা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান এবং মানববন্ধনের মত কঠোর কর্মসূচী দিতে পারেন। এখন দেখার বিষয় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শকের খুঁটিরজোর কোথায়? কাকে খুশি করতে শিক্ষকদের বেতন আটকানো হলো?
বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী পর্বে.