ঈদের জুতা বানাতে নির্ঘুম রাত কালীগঞ্জের কারিগরদের
ক্রেতারা অনলাইনে ক্রয় করতে আগ্রহী নন
বাংলাদেশসহ তিন দেশের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করল এমিরেটস
টেকনাফে তিন সহোদরকে গুলি, নারীসহ ২ রোহিঙ্গা গ্রেফতার
শ্রাবণ টিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেলেন সুমাইয়া আক্তার শিখা ।
কঠোর বিধিনিষেধে ফাঁকা লালপুরের ঘাট-বাজার
শুক্রবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ সন্ধ্যায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলীর আহ্বানে ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন কর্মসূচির অগ্রগতি আলোচনায় এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্থার সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন, সহসভাপতি আলমগীর গনি, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান প্রধান, ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি শাহ্ আলম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ জাহিদ হাছান রাসেল উপস্থিত ছিলেন। শেষে সকলকে কফি পানে আপ্যায়িত করা হয়।
আদ জাতির পতনের পর তামাম আরব উপদ্বীপে শৌর্যশালী জাতি হিসেবে আবির্ভাব ঘটে ছামুদ জাতির। সামরিক, অর্থনৈতিক ও শিল্পকলায় সমৃদ্ধির শিখরে যতদিনে তারা পৌঁছে গিয়েছিল- ততদিনে তাদের নৈতিকতা নেমে ঠেকেছিল একদমই তলানিতে। মূর্তিপূজা, কুপ্রথা ও নানাবিধ পাপাচারের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছিল। ছামুদ জাতি প্রধানত আরব উপদ্বীপের উত্তরাংশে বসতি গড়েছিল। তারা পাথুরে পাহাড় কেটে সুন্দর সুন্দর বাড়ি নির্মাণ করতে জানত। সৌদি আরবে এখনও তাদের গড়া ১১১টি মনুমেন্টাল গম্বুজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত আল হিজর শহর তাদেরই নির্মিত। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর গ্রিক ইতিহাসবিদ লিনির রচনা থেকেও এর প্রমাণ মেলে। আল্লাহ তাদের এ বিপথগামিতা থেকে সাবধান করার জন্য সালিহ (আ.) কে নবী হিসেবে প্রেরণ করলেন। সালিহ (আ.) তাদের সতর্ক করলেন, দ্বীনের দাওয়াত দিলেন। খুব স্বল্পসংখ্যক লোক তার কথায় ঈমান আনল। বাকিরা প্রত্যাখ্যান করল। সালিহ (আ.) আল্লাহর অবাধ্যতার কী পরিণতি, তা তাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন। পূর্ববর্তী আদ জাতি ও নূহের (আ.) জাতির ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানালেন। ছামুদ জাতির শাসক এবং অভিজাত শ্রেণি সম্পূর্ণরূপে সালিহ (আ.)-এর এ দ্বীনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করল। তারা সালিহের (আ.) ওপর নানা অপবাদ আরোপ করতে লাগল এবং তার অনুসারীদের ওপর অত্যাচার শুরু করল। একদিন তারা পাহাড়ের একটা পাথর দেখিয়ে বলল, সালিহ যদি সত্যিই এক আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হন তবে যেন এ পাথরের মাঝখান থেকে একটা ১০ মাসের গর্ভবতী উটনী বের করে আনেন। তারা কথা দিল, যদি একটা সুন্দর, লম্বা, স্বাস্থ্যবান উটনী বেরিয়ে আসে তবে তারা সালিহের (আ.) দ্বীন কবুল করবে। আল্লাহর ইচ্ছায় সালিহের (আ.) কথামতো সেখান থেকে উটনী বেরিয়ে এলো। বেরিয়েই একটা বাচ্চাও প্রসব করল।
টঙ্গী তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন গতকাল অতিবাহিত হয়েছে। আগামীকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমা। ভারতের সা’দ কান্ধলভীর অনুসারী তাবলীগ জামাতের দেশি বিদেশি শীর্ষ মুরুব্বিদের আ’ম ও খুসুসি (সাধারণ ও বিশেষ) বয়ানের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা এসে এ বৃহত্তম জুমার জামাতে শরিক হয়েছেন। জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ হোসেন। গতকাল বাদ ফজর সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে আ’ম বয়ান করেন মাওলানা ওসমান। সকাল সাড়ে ৯টায় মুফতি আসাদুল্লাহ সুলতানপুরি তালিম বিষয়ে খুসুসি (বিশেষ) বয়ান করেন। জুমার আগে সালাতুত তাসবীহ ও ফাজায়েল বিষয়ে বয়ান করেন মুফতি ফয়জুর রহমান। জুমার খুৎবা পাঠ ও ইমামতি করেন মাওলানা মোশাররফ হোসেন। বাদ জুমা বয়ান করেন ভারতের মাওলানা চেরাগ আলী। বাদ আসর বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের আহলে শূরা সদস্য ভাই সাহাবুদ্দিন নাসিম বয়ান করেন। বাদ মাগরিব আ’ম বয়ান করেন ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জামশেদ। বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। এই মেহনত খুলুসিয়াত ও আজমতের সাথে যারা করবে তাদের যেকোন আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়। জুমাপূর্ব বয়ানে বলা হয়, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না। ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দূতে হলেও অংশ নেয়া বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন এক হাজার ৬১০ বাংলাদেশি কর্মী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফিরেছেন ১০৯ জন। তাদের অনেকেরই দাবি, কাজ থেকে ঘরে ফেরার পথে ধরে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আকামার মেয়াদ এখনও রয়েছে। মাত্র দুই মাস আগে নোয়াখালীর আজিম হোসেন গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। পাসপোর্টে তিন মাসের ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি জানিয়েছেন, বাজার করতে যাওয়ার সময় তাকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের সঙ্গে নিয়োগকর্তার (কফিল) কথা বলার পরও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের রুহুল আমিন, কুমিল্লার ফিরোজ হোসেন ও মানিক, শরীয়তপুরের মিলন, যশোরের মোসলেম উদ্দিন, বগুড়ার মেহেদি হাসান, গাজীপুরের রাজিবসহ বেশিরভাগেরই একই অবস্থা। ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সালে ২৫ হাজার ৭৮৯ বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর ১৬ দিনে এক হাজার ৬১০ বাংলাদেশি ফিরলেন। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একই রকম। প্রায় সবাই খালি হাতেই ফিরেছেন। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬ হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে ২ হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে ২ হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে ১ হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূন্য হাতে ফিরেছেন। শরিফুল হাসান বলেছেন, যে রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের পাঠিয়েছিল, তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
হাড় হিম হওয়া কনকনে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত ও কুয়াশার ঘোর অব্যাহত রয়েছে মাসখানেক যাবৎ। স্মরণকালের টানা শীতের কামড়। শুধু বাংলাদেশেই নয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তানের শত কোটি মানুষ প্রচন্ড শীতে এবার জবুথবু। এমনকি মরুর দেশ সউদি আরবের একাংশে জর্ডান সীমান্ত বরাবর পাহাড়-মরুভূমি বরফে আচ্ছাদিত। মরুভূমির জাহাজ উটের বহর সাদা হয়ে গেছে বরফের চাদরে। অথচ গেল গ্রীস্ম মৌসুমে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ভয়াবহ তাপদাহে কয়েকশ’ মানুষের মৃত্যু ঘটে। আবহাওয়া-জলবায়ুর চরম ভাবাপন্ন ও বৈরি আচরণে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্রমাগত বিপন্ন দশায় ধাবিত হচ্ছে। সঙ্কটে পড়ছে কৃষি-খামার, উদ্ভিদ, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ। এদিকে মাঘ মাসের প্রথম দিনটিতে ‘বাঘ কাঁপা’র কিংবা ‘কাঁদা’র মতো অতটা তীব্র আকারে শীতের দাপট ছিল না গতকাল বুধবার। ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদ যথেষ্ট উঁচুতে রয়েছে। তবে উত্তুরের হিমেল হাঁড় কনকনে হাওয়া, ঘন কুয়াশাপাত, বাতাসে জলীয়বাষ্পের মাত্রা বেশি থাকা- প্রধানত এ তিন কারণে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। উত্তরাঞ্চলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের একাংশ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এসব এলাকার অনেক স্থানে আজ (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। তাছাড়া আজ সার্বিকভাবে সারাদেশে পারদ আরও কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। মাঘের এ সময়ের আবহাওয়ার নিরিখে পারদ এখন সহনীয় রয়েছে। কিন্তু আসছে সপ্তাহে দেশের কোথাও কোথাও ফের ‘শীত নামানো’ বিক্ষিপ্ত হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তেমনটি গুঁড়ি গুঁড়ি বর্ষে তাহলে চলতি মাঘ মাসে আবারও তীব্র থেকে তীব্রতর শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে দেশ। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৭.৫ এবং সর্বোচ্চ সীতাকুন্ডে ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৬ এবং সর্বনিম্ন ১৪.২ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৭ এবং সর্বনিম্ন ১৪.২ ডিগ্রি সে.।
পৃথিবীতে প্রায় বেশিরভাগ পরিবারে শেষ বয়সে অবহেলার শিকার হন বাবা-মা। কিন্তু কেন এই অবহেলা, কেন তাদের হেয় করা? অতি স্নেহ-আদরে যাদের বড় করে তুলেন, তারাই কেন তাদের দুঃসময়ে বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানা দেখান। নিজে কষ্ট করে যে বাবা তার ছেলের খরচ চালিয়ে যান দিনের পর দিন, সেটাই কি ছিল তার অপরাধ? বছরের পর বছর যে বাবা পুরনো শার্ট, প্যান্ট পরে অফিস করে ছেলের পরীক্ষার খরচ চালিয়ে যেতেন, নিজে না খেয়ে ছেলেকে টাকা পাঠাতেন, যাতে সে অন্য বন্ধুদের কাছে ছোট না হয়, সেটা হয়তো ছিল বাবার অপরাধ। যে বাবা-মা এক সময় নিজে না খেয়েও সন্তানের মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন, তারা আজ কোথায় আছেন, কেমন আছেন, তাদের খোঁজখবর নেয়ার সময় আমাদের নেই। তার নিজের সন্তানও হয়তো একদিন তার সঙ্গে এমন আচরণই করবে। বিভিন্ন উৎসবে, যেমন ঈদের দিনেও যখন তারা তাদের সন্তানদের কাছে পান না, সন্তানের কাছ থেকে একটি ফোনও পান না, তখন অনেকেই নীরবে অশ্রুপাত করেন আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। আজ আমরা চাকরি করি, ব্যবসা করি, প্রতিষ্ঠিত হচ্ছি, সুনাম কুড়াচ্ছি। তারপর বিয়ে করে নতুন সংসার নিয়ে আলাদাভাবে থাকছি। অন্যদিকে বৃদ্ধ মা-বাবা কী করছেন, কী খাচ্ছে, কোন জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছেন সেদিকে বিন্দুমাত্র কোনো খেয়াল নেই আমাদের। শুধু নিজের স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে কীভাবে চলব সেটা ভেবে থাকি।
তাবলিগ অনুসারীদের একটি বৃহত্তম সমাবেশ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা। তাবলিগ আরবি শব্দ, বালাগ শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থÑ পৌঁছানো, প্রচার করা, প্রসার করা, বয়ান করা, চেষ্টা করা, দান করা ইত্যাদি। পরিভাষায়Ñ একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে। তাবলিগ আদর্শ যিনি পৌঁছান তাকে মুবাল্লিগ বলে। বিশ্বনবী (সা.) এ পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে একটিমাত্র বাণী হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় ইসলামি দাওয়াত তথা তাবলিগের প্রবর্তন করেন। একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মেলন বা ইজতেমারও আয়োজন করেন। বাংলাদেশে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তাবলিগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আবদুল আজিজ (রহ.)। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এ সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। পুরো সমাবেশের আয়োজনই করে থাকেন একঝাঁক ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বেচ্ছাসেবক। আর্থিক-শারীরিক সহায়তা দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তারা এ সমাবেশ সফল করতে সচেষ্ট থাকেন।
আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সংস্থার অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ে একটি সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক, এমএ সালাম রানা, সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নরসিংদী জেলা শাখা। সভার শুরুতে নরসিংদী জেলা শাখার প্রত্যেক সদস্যকে সভাপতি পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয় পর্বে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময়, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় কমিটিকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নরসিংদী জেলা শাখার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সহসভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, দৈনিক এই আমার দেশ’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় সভাপতি মোঃ আলমগীর গনি, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতির একান্ত সচিব মোঃ কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগ সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মোঃ আনিছুর রহমান প্রধান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সদস্য, শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, নরসিংদীতে সাংগঠনিক সফরে আসলে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নরসিংদী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট্য মানবাধিকার সংগঠক এমডিএস এর’ নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক ফাহিমা খানম, নির্বাহী সদস্য ও সোনালী বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক সোহেল এস হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক, ডেইলী অবজারভার পত্রিকার বিজনেস প্রতিনিধি ও সময় নিউজ পোর্টাল’র প্রকাশক- সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম প্রধান, কোষাধ্যক্ষ ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রচার ও সাহিত্য সম্পাদক ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সানজিদা আক্তার রুমা এবং দপ্তর সম্পাদক ও সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার সম্পাদক আফরোজা আক্তার মিনা প্রমূখ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেটে টিসিবির পেঁয়াজ কালোবাজারে বিক্রির সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। সে সময় প্রায় ৬০ বস্তা পেঁয়াজ জব্দ করা হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। সারওয়ার আলম বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। সে সময় টিসিবির পেঁয়াজ কালোবাজারে বিক্রির সময় দুজনকে আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি বস্তা পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে মর্যাদা অর্জন করে চলেছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হিসাবে চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০২০) বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ সেরা দেশ হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে। বাংলাদেশের উপরে থাকবে ক্যারিবীয় দেশ গায়ানা, আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও জিবুতি। সার্বিক বৈশ্বিক মানদণ্ডে এটি সুখবর বটে। তবে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া এই পূর্বাভাসের পেছনে একটি দুঃসংবাদও আছে। সেটি হলো, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় এ বছর তা ব্যাপকভাবে কমে যাবে। অর্থাৎ এবার দেশের অর্থনীতি আগেরবারের মতো পারদর্শিতা দেখাতে পারবে না। তবে আগামী দুই অর্থবছরেই বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছে বিশ্বব্যাংক। গেল বছরের প্রবৃদ্ধির কারণগুলো উল্লেখ করে সামনের কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। তাহলো বিনিয়োগ ঘাটতি, আর্থিক খাতের নানামুখী চ্যালেঞ্জ, রাজস্ব খাতের সংস্কার ও কর আদায়ে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না থাকা ইত্যাদি। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে ভালো খবর। আগামীর পথচলায় এই প্রতিবেদনটি সহায়ক হতে পারে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাতে একযোগে দেশের ৪৯১টি উপজেলায় আলোকসজ্জার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর হাতিরঝিলে আলোকসজ্জা ও হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে আনন্দ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। উৎসবের অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায় ও কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ণিল আতশবাজি ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। ডিসি ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় নিজ নিজ এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক কাজের সমন্বয় করে ইআরডি। আর ঢাকায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের মঞ্চে গান পরিবেশন করেন ১০০ দেশি-বিদেশি শিল্পী। সবার গানে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। রাত সাড়ে ৯টায় সারা দেশে আলো ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই দেশ উন্নত হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষরা হলেন ক্ষণজন্মা, তারা বেশি দিন বাঁচেন না। বঙ্গবন্ধু একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, নিজস্ব পরিচয় দিয়েছেন। দেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সব উন্নয়ন সাজিয়েছেন। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন একটা ভূখণ্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র ও আমাদের পরিচয়। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপনের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৪৯১ উপজেলায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সরকারের বিভিন্ন শাখার তথ্য অনুযায়ী দেশে আড়াই লাখ ভিক্ষুক রয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে চলতি অর্থবছরে চারকোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদ দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো জরিপ পরিচালিত হয় না। তবে বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জরিপ পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সব জেলায় জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভিক্ষুক পুনবাসনের জন্য প্রাপ্ত চাহিদাপত্রে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ভিক্ষুক রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি বলেন, ভিক্ষুকদের পুর্নবাসনের জন্য মোট ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে প্রাপ্ত ৩ কোটি টাকা জেলাগুলোতে পাঠানো হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ তথ্য অনুসারে দেশের ০ দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিএনএস ২৮ বছরে যাত্রা শুরু : ২৮শে মার্চ জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট-বিএনএস ২৭ বছর পার হয়ে ২৮ বছরে পদার্পণ করেছে। বিএনএস একটি ডমেস্টিক নিউজ এজেন্সি হিসেবে সীমিত পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর । দৈনিক ইনকিলাবের তৎকালীন সহকারী বার্তা সম্পাদক মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএনএস ব্যাপক পরিচিতি পায়। দেশের সকল জেলা ও অনেক উপজেলায় এক ঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী সংশ্লিষ্ট হয় এই সংস্থার সাথে। এই সব তরুণকে সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয় বিএনএস। সারা দেশে আয়োজিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা। বিগত ২৭ বছরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সহস্রাধিক সাংবাদিক। তাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনএস’র ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৮শে মার্চ শনিবার ঢাকায় দিনব্যাপী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা (ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম) বিষয়ে এক জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালায় মোট ৫টি ক্লাস নেয়া হবে। দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকগণ ক্লাস নেবেন এবং একজন প্রবীণ ও প্রথিতযশা সম্পাদক/সাংবাদিক সনদ বিতরণ করবেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ সামগ্রী, আর্ন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি সনদপত্র ও বিএনএস’র প্রতীক খচিত ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। এই কর্মশালার কোর্স ফি ১০০০/-(এক হাজার) টাকা। আসন সংখ্যা সীমিত। অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ১০ই মার্চ ২০২০ তারিখের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, বিস্তাারিত জীবন বৃত্তান্ত ও ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে এবং ০১৭ ১৬ ৯১ ৭৬ ০২ নম্বওে বিকাশ করে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০২০/-(এক হাজার কুড়ি টাকা) পাঠাতে হবে। যোগাযোগ : মুহম্মদ আলতাফ হোসেন, চেয়ারম্যান, বিএনএস, ৩২ মায়াকানন, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪। ফোন : ০১৮ ১৯ ৮৯ ৯২ ১১
বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট-বিএনএস অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ২৮ বছরে পদার্পণ করেছে এ বছর। বিএনএস একটি ডমেস্টিক নিউজ এজেন্সি হিসেবে সীমিত পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯২ সালের শেষ দিকে । দৈনিক ইনকিলাবের তৎকালীন সহকারী বার্তা সম্পাদক মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএনএস ব্যাপক পরিচিতি পায়। দেশের সকল জেলা ও অনেক উপজেলায় এক ঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী সংশ্লিষ্ট হয় এই সংস্থার সাথে। এই সব তরুণকে সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয় বিএনএস। সারা দেশে আয়োজিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা। বিগত ২৭ বছরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সহস্রাধিক সাংবাদিক। তাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনএস’র ২৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আগামী ২৮শে মার্চ ২০২০ শনিবার ঢাকায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা (ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম) বিষয়ে এক জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকগণ ক্লাস নেবেন এবং একজন প্রবীণ ও প্রথিতযশা সাংবাদিক সনদ বিতরণ করবেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ সামগ্রী, আর্ন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি সনদপত্র ও বিএনএস’র প্রতীক খচিত ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। এই কর্মশালার কোর্স ফি ১০০০/-(এক হাজার) টাকা। আসন সংখ্যা সীমিত। অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ১৪ই মার্চ ২০২০ তারিখের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, বিস্তাারিত জীবন বৃত্তান্ত ও ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে এবং বিকাশ করে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০২০/-(এক হাজার কুড়ি টাকা) পাঠাতে হবে। বিকাশ করতে হবে ০১৭ ১৬ ৯১ ৭৬ ০২ এই নম্বরে। নিয়মিত ভিজিট করুন www.bns92.org যোগাযোগ : মুহম্মদ আলতাফ হোসেন, চেয়ারম্যান, বিএনএস, ৩২ মায়াকানন, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪। ফোন : ০১৮১৯৮৯৯২১১.
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশদের আজীবন রেশন দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীতে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। পুলিশের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে একটি কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছি। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক। সব পুলিশ সদস্যদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছি। তাদের জন্য কেন্দ্রীয় হাসপাতাল নির্মাণ করেছি। বর্তমানে সকল পুলিশ সদস্যরা রেশন পাচ্ছেন। যারা অবসরপ্রাপ্ত তাদেরও আজীবন রেশন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিদেশে পাঠিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অসংখ্য মোটরসাইকেল ও গাড়ি ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সেখানকার সাংসদ পুত্র সুনাম দেবনাথকে আসামি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাখদুম শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মেট্রোরেলের কাজের জন্য রুট পরিবর্তন করা বাসগুলো আবার আগের পথেই চলছে। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক বিপণিবিতানে শরীয়তপুরের দুই যুবককে গত রোববার গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে গত দুই বছরে শরীয়তপুরের ১০ যুবককে দক্ষিণ আফ্রিকার সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে হত্যা করল।