সাংবাদিক সুমাইয়া আক্তার শিখা'র লেখা কবিতা ”ধনী-গরীব”

=কবিতা=

ধনী-গরীব

সুমাইয়া আক্তার শিখা ।

গরীব বলে তোমরা আমায় করিও না হেলা, ধনী-গরিব,

এসব কিন্তু সৃষ্টিকর্তার খেলা।

আজকে তুমি অট্টালিকায় কালকে কুড়ে ঘরে,

"ফকির" বাদশাহ হতে পারে, চব্বিশ ঘন্টার তরে।

গরীব মরে পথে ঘাটে ধনী মরে হাসপাতালে ,

ধনীর কত রোগ বালাই গরীব শুধু জ্বলে ক্ষুধায় ।

ধনী যারা বিত্তশালী টাকায় করে সব সমাধান ,

গরীব দুঃখীর সহায় শুধু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মহান ।

ধনীর শোকে এই সমাজে সবাই ভিষণ কষ্টে থাকে ,

গরীব মরলে কে রাখে খোঁজ কেউ কাঁদে না মৃত্যুশোকে ।

যত আছে করের বোঝা সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ,

গরীবেরই কাঁধে চাপে সব ধনীদের কারসাজি ।

মজুর-কুলিই কাজের শক্তি, আজও কি বোঝে ধনী ?

তাই মজুরকূলের কর্মে লুপ্তি;

কমে যে ধনীর পুঁজি।

একই বৃন্তে গরীব ও ধনী,

কড়ির এপিঠ আর ওপিঠ- অর্থ তবুও মাপন বিধি;

এই বিচার কি সঠিক ?

বড় বড় সব দালান-কোঠা,

গরীবের কত যতনে গড়া।

দালান-কোঠা গড়তে গড়তে,

কতজন মাটিতে লুটিয়ে পরে!

রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে!

ইট বালি নিয়ে এগিয়ে চলে,

ধানের আঁটি আর বস্তা নিয়ে এক পথে তাঁরা শতবার হাটে!

দিন শেষে ধনী গাড়ি চড়ে এসে,

চলে যায় শুধু ঘোরাঘুরি করে!

দিন শেষে, গরীবের যে মজুরি জোটে,

হাসিমুখে তা নিয়ে বাড়িতে ফেরে!

বড়লোক তার স্বার্থ হাসিলে,

গরীবের রক্ত ঝড়িয়ে ছাড়ে!

তবুও গরীব সহ্য করে,

জোটে যদি ভাত পেটে!