বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নে এগিয়ে কামাল তালুকদার

মোঃ রাব্বী মোল্লা, বাকেরগঞ্জঃ
করনা মহামারীর ধাক্কায় বন্ধ রয়েছে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল। কবে নাগাদ তফশিল ঘোষনা হবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে বসে নেই প্রার্থীরা।

তফশিল ঘোষণার আগেই ইতোমধ্যে মাঠে মায়দানে প্রার্থীদের দোড়ঝাপ শুরু হয়েছে। নৌকা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরা। ব্যতিক্রম নয় বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি  ইউনিয়নও। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামতি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান উপজেলাব্যাপী জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা মোঃ কামাল হোসেন তালুকদার। এদিকে দলীয় সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি প্রচার প্রচারণাও চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। 

এজন্য তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি প্রতিনিয়তই ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎসহ নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে জানান দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া এই নেতা।

তিনি নৌকার মনোনয়নের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদী  নৌকা পেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে বুকে ধারণ করেই নিয়ামতি  ইউনিয়নবাসীর জন্য কাজ করার অঙ্গিকারও করেছেন তিনি। 

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এলাকায় সম্পৃক্ততা, রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার, জনসেবা, সমাজসেবা, দলীয় কর্মসূচীতে সক্রিয়তা, করোনায় মানবিক সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। সম্প্রতি  ডিএসবি, এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই প্রতিবেদন গণভবনে জমাও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দেয়া হবে মনোনয়ন। সূত্র জানায়, গোয়েন্দা রিপোর্টেও অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কামাল তালুকদার। তাই গেল বারের মত এবারও তার নৌকা পাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এলাকাবাসীরা জানান, জনগনের সুখে দুঃখে খোঁজ খবর নেয়া এবং পাশে দাড়ানো কামাল তালুকদারের নেশা। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বাড়ি বাড়ি ঘুরে উঠান বৈঠক করতে দীর্ঘপথ ছুটে বেড়াচ্ছেন নিয়ামতি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলাকালীন সময়ে তিনি এলাকার অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে সামর্থ্য অনুযায়ী  ত্রাণ বিতরণসহ প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর খোঁজখবর রাখছেন। এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগাম গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি। 

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টায় করোনা মহামারীর সংক্রমণ অনেকটা কম, তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ হাজার ৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ করার কথা ছিল। এখন অক্টোবরের মধ্যেই তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সারা দেশে বইতে শুরু করেছে ইউপি নির্বাচনী হাওয়া। করোনার ধাক্কায় নির্বাচনী আমেজে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কিছু জনপদ এখনো ঠান্ডা তবে ব্যতিক্রমও অনেক জায়গা। তেমনই এক জনপদ নিয়ামতি ইউনিয়ন। সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরা ভোটারদের পাশাপাশি দলীয় নেতৃবৃন্দের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বিভিন্ন উপলক্ষ ছাড়াও সামান্য সুযোগে নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টার কমতি নেই কারোরই। 

কামাল তালুকদার বলেছেন, আমি আমার জীবনের অর্ধেক সময় ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি । আশা করি আমার প্রাণপ্রিয় নেতা দক্ষিণঅঞ্চলের রাজনীতির অভিভাবক মন্ত্রী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাকেরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক  সংসদ সদস্য প্রয়াত আলহাজ্ব মাসুদ রেজার সহধর্মিনী বরিশাল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস আইরিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম চুন্নু, এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া আমাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অংশীদার হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত নিয়ামতি  ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করবো। তাই আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করছি। আমি নির্বাচিত হলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি ইউনিয়ন উপহার দেব। ইনশাআল্লাহ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে নিয়েই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। কামাল তালুকদার আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনা নিয়ে আমার পরিবার। তাই এই চেতনাকেই আজীবন ধারণ করতে চাই।