সাংবাদিকদের বাতিঘর মুহম্মাদ আলতাফ হোসেন’র ৭৫ বসন্তযাত্রা আজ

বিএনএসঃ

আজ ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার প্রবীণ সাংবাদিক ও  জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের ৭৫তম জন্ম দিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের ঢালমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা আবদুল কাদের হাওলাদার ও মা আম্বিয়া খাতুনের ঘরে প্রথম সন্ত্বান তিনি।বরিশালের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হলেও বাবার কর্মস্থল ঢাকায় বসবাস শুরু করেন শিশুকালেই। সেই সূত্রে কমলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন অতিবাহিত হয়। ১৯৭০ সালে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা। সেই থেকে আজ অবধি লেগে আছেন মিডিয়া জগতের সাথে।

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার  প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি।

দেশের সাংবাদিকতা জগতের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ আলতাফ হোসেন। ১৯৭০ সালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে বিগত অর্ধ শতাধিক বছরে তিনি দৈনিক আজাদ, দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক জনতা, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি রেডিও বাংলাদেশের বাংলা সংবাদ বিভাগে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। তিনি এক সময় বেতার কথিকা ও সংবাদ পর্যালোচনা লিখে বিপুল সুনাম কুড়িয়েছেন।  তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য ছিলেন বিভিন্ন সময়ে।

নজরুল একাডেমীসহ বিভিন্নসংস্থার আজীবন সদস্য ছাড়াও বহু সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত। তিনি দেশে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের একক সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার  প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি। ১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী তার উদ্যোগে গঠিত হয় এই সংগঠন।

তিনি প্রথম শ্রেণির নিরপেক্ষ জাতীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট-বিএনএস’র চেয়ারম্যান ও এফএনএস’ প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

গত ২রা জানুয়ারি ২০১৬ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার আজীবন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গ্রমীণ সাংবদিকতা ও সাংবাদিক জগতে গুরু হিসেবে পরিচিত।জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও বিএনএস(বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট)’র ব্যানারে তিনি দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে পেশাগতভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলেছেন। তাদের অনেকেই এখন দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র, গণমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলে দক্ষতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৯১-৯২ তিনি ও সাংবাদিক সৈয়দ তাজ-উস-শফীর উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশ কলেজ অব জার্নালিজম। কিন্তু প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে কলেজটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। কিন্তু প্রায় পাচঁ বছর আয়ুষ্কালে এই কলেজের মাধ্যমে অনেক প্রশিক্ষিত সাংবাদিক জাতিকে উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে।

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ও স্ত্রী আছিয়া হোসেন অত্যন্ত সফল দম্পতি। তাদের দুইটি পুত্র সন্ত্বান।জ্যেষ্ঠ পুত্র ডাঃ মুনীর হোসেন ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশের কাট্রি প্রোগ্রাম অফিসার আর কনিষ্ঠ পুত্র মুহম্মদ মনজুর হোসেন সিটি ব্যাংকের অফিসার। দুই পুত্র, পুত্রবধুদ্বয় এবং উভয় পক্ষে তিন নাতী-নাতনীসহ এই সাংবাদিক নেতা দুনিয়াতেই জান্নাতী সুখে বসবাস করছেন। তিনি যেন পরকালেও জান্নাত লাভে ধন্য হন সেই দোয়া তার কাম্য সর্ব মহলের কাছে।