ই-গভর্নমেন্ট ইআরপির বাজেট মডিউলের কর্মশালা

বাজেট মডিউল (ই-গভর্নমেন্ট ইআরপির অন্যতম প্রধান মডিউল) সম্পর্কিত সফটওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট স্পেসিফিকেশন (এসআরএস) এর একটি পর্যালোচনা কর্মশালা, আইসিটি টাওয়ারে এটুআই সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রথম ইআরপি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট চলছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. অশোক কুমার রায়। এরপর সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কোক্রিয়েটস এর সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট শাহরিয়ার কবির বাজেট মডিউলের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

বাজেটের মডিউলটি মূলত, বিগত বছরের বাজেটের ডেটা ব্যবহার করে বাজেট প্রস্তুতি এবং বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয় নির্ণয় করা, বাজেট প্রকল্পের স্বয়ংক্রিয় গণনা, সহজ ব্যয় সমন্বয় এবং ওয়েবভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কিত তথ্যের ধারণা নিতে সহায়তা করবে।

বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাজেট মডিউলটি সরকারি সংস্থা এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় ভবিষ্যতের জন্য যেকোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব জানান, ‘আমি খুবই আনন্দিত, কারণ এটা তৈরিতে আমাদের সামনে যে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সফলতার সাথে একটা পর একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এই সফওয়্যারটি তৈরি করতে সফল হচ্ছি। বাজেট মডিউলটি অন্যান্য সফটওয়্যার থেকে অনেক আপগ্রেড ভার্সন, যেখানে কোনো প্রকার অ্যানালগ কর্মকাণ্ড নেই। চমৎকার এ সফটওয়্যারটি ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড সহজ করতে সহায়ক হবে।’

কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক ড. অশোক কুমার রায় বলেন, বাজেট প্রস্তুতির জন্য এই সফটওয়্যারটি উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সময় এবং খরচ দুটোই এক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হবে, যেহেতু এটি আমাদের দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি ডেভেলপ করছে, ভবিষ্যতে এটি দেশীয় অন্যান্য কোম্পানিকে উৎসাহীত করবে। যখন এ মডিউলের মাধ্যমে বাজেট প্রস্তুত করা হবে, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আরো অনেক বেশি স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তানভির আখতার বলেন, মডিউলটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এটি সরকারের যেকোনো প্রকল্প অথবা কর্মকাণ্ডের, ভবিষ্যতের প্রকল্প ব্যয় এবং আয়ের হিসাব প্রস্তুত করা, ভবিষ্যতের আনুমানিক আয় ও ব্যয় প্রস্তুত করা, সংস্থার ভবিষ্যতের প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপের অনুমান প্রস্তুত করতে এবং উক্ত অনুমানের উপর নির্ভর করে বিবরণী এবং ব্যালান্স শিটের তৈরিতে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অফিসিয়াল কার্যক্রম সহজে ও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ‘ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

মূল সফটওয়্যারটির নয়টি মডিউলগুলোর মধ্যে বেটা সংস্করণে চারটি মডিউল এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চারটি মডিউলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সভা পরিচালনা, ইনভেন্টরি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং প্রকিউরমেন্ট।

সভায় অন্যানদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এবং ইনফো সরকার ৩য় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বির্কণ কুমার ঘোষ, পরিকল্পনা বিভাগের উপ-সচিব মো. খোরশেদ আলম, সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কোক্রিয়েটস এবং সিনেসিস আইটির পরিচালকবৃন্দ এবং ডেভেলপারগণ, এটুআই, বুয়েট এবং প্রকল্পের পরামর্শকগণ।