দেশের বিমান বহরে আরো দুটি ড্রিম লাইনার যুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন পঞ্চম ও ষষ্ঠ ড্রীমলাইনার উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ -৯ যুক্ত হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফিতা কেটে বিমানের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ এবং ‘অচিন পাখি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ দুটি উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮টিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন বিমান বন্দরের যাত্রী পরিবহন এবং মালপত্র আনা নেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২১ হাজার ৩শ’কোটি টাকা ব্যয়ে বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের উদ্বোধন করেন।
তিনি বিশ্বের সকল স্থান থেকে বিমানের টিকেট ক্রয়ের সুবিধা সংবলিত একটি মোবাইল এ্যাপসও অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন।
এরআগে, ২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সংগে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় । ইতোমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান এবং ৪টি নতুন ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে বিমানের জন্য আরো ২টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ উড়োজাহাজ ২১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ বিমান বহরে যুক্ত হয়।
বিমান বহরের ড্রিমলাইনারের নাম বাছাই করেন শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল, রাজহংস, সোনার তরী এবং অচিন পাখি ।
১৬ ঘন্টা টানা উড্ডয়ন ক্ষমতা সম্পন্ন জ্বালানি সাশ্্রয়ী বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারে-এ আসন সংখ্যা থাকছে মোট ২৯৮টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ৩০টি, প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস ২১টি এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।
বিমানের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে যাত্রীগণ নিজের মোবাইল থেকেই কিনতে পারবেন বিমানের সকল গন্তব্যের টিকিট। মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ/রকেট/ যে কোন কার্ডের মাধ্যমে। গুগল প্লেস্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপস স্টোর থেকে যে কোন স্মার্টফোনে অ্যাপসটি ডাউনলোড করলে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে বিমানের ফ্লাইট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, এই অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীগণ ফ্লাইট সম্পর্কিত সকল তথ্য, ফ্লাইট স্ট্যাটাস, ফ্লাইট শিডিউল, সেলস সেন্টার সমূহের ঠিকানা,অনলাইন টিকেট ও রিফান্ড হেল্পডেস্ক, এবং টিকেট বুকিং সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
যাত্রীগণ অ্যাপসটি ডাউনলোড করে স্ব স্ব প্রোফাইল তৈরী পূর্বক সরাসরি ওয়ান ওয়ে, রাউন্ড ট্রিপ টিকেট, বুকিংয়ের পর টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা, রিজার্ভেশন স্ট্যাটাস চেকিংয়ের সুবিধা, ভ্রমণ সঙ্গীর তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। এছাড়াও মাই ট্রিপ, বুকিং হিস্ট্রি, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (ভিসা, মাস্টার, অ্যামেক্স, নেক্সাস) ও মোবাইলের (বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে টিকিট ক্রয় এবং বুকিংয়ের টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশন সুবিধা রয়েছে অ্যাপসটিতে। বাসস।