বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

২০২০ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ অভিধায় উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মুজিববর্ষ, যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা গ্রন্থ নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বর্তমানে সংগৃহিত গ্রন্থের সংখ্যা একহাজার। এই সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে বছরব্যাপি অনুষ্ঠানে অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হলো।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন লেখক ও গবেষক তপন বাগচী, সৈকত হাবীব, মনি হায়দার, ড. কাজল রশিদ এবং সাইমন জাকারিয়া।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বস্তুতপক্ষে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গ্রন্থাকারে যে সব আলোচনা হয়েছে এর অধিকাংশ প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি প্রকাশের পূর্বে। এটা একটা সমস্যা অর্থাৎ এই গ্রন্থগুলো প্রকাশের পর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। লেখকরা বই লেখার আগে অন্তত আর্কাইভ থেকে পূরনো নথিপত্র দেখলে ভুল কম হবে। বড় বড় কমিটি হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনেক বই প্রকাশ করছেন। কিন্তু আমরা অদ্যাবদি বঙ্গবন্ধুর একটি জীবনীগ্রন্থ পাইনি। কাজল রশিদ শাহিন বলেন, এই পাঠ পর্যালোচনার ফলে মনে হলো প্রত্যেকটি লেখা এক ধরনের নিবন্ধ, যা পত্রিকায় লেখা নিবন্ধের মতো। সেইদিক থেকে বলতে পারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষনার ক্ষেত্রে নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে না। কোন কোন দিকে থেকে তথ্যগতও ভূল রয়েছে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ৭৫ এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। অনেক ঘটনা গেছে, বঙ্গবন্ধুকে সাধনা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস সব সময় ছিলো। জন্মশতবর্ষে আমরা ছোট করে কাজটা শুরু করলাম। একাডেমির লাইব্রেরীতে একটা বঙ্গবন্ধু কর্নার করেছি। এ পর্যন্ত দুইশ’টি বই পর্যালোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো করা হবে। সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পী ও শিশুশিল্পীরা।