নাটোর টু বগুড়া মহাসড়কে মাটি ভরাট কাজে দুর্নীতি, তদন্তে পিবিআই

নাটোর প্রতিনিধিঃ

চলমান নাটোর টু বগুড়া মহাসড়কের সম্প্রসারণ কাজে ৯ কোটি টাকার মাটি ভরাট নিয়ে চলছে অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিভেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে নাটোর সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু সাঈদ স্বপ্রনোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের মাটি ভরাট নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরেই আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে এই আদেশ জারি করেন। আদেশে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কারা কারা জড়িত, তাদের নাম ঠিকানা সনাক্ত, রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটার কারণে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদশে বলা হয়, নাটোর মাদ্রাসা মোড় থেকে শেরকোল পর্যন্ত ১৪ দশমিক সাত কিলোমিটার সড়কের সম্প্রসারণ কাজে মাটি ভরাটের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম এবং রানা বিল্ডার্স ঠিকাদারী শর্ত ভঙ্গ করে সড়কের দু’পাশ থেকে মাটি কেটে সড়ক সম্প্রসারণ করেছে।

এতে করে সরকারের টাকা আত্মসাৎ, অনিয়মের পাশাপাশি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়ক নিয়ে  প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। এতে করে আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে দণ্ডবিধি ৪৩১, ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তাছাড়া অপরাধসমূহ কাদের দ্বারা সংঘঠিত হয়েছে তাদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা এবং প্রকাশিত  গণমাধ্যমের রিপোর্টারের জবানবন্দি, তদন্তকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দ এবং সরকারী রাস্তার পাশ থেকে কত ঘনমিটার মাটি তোলা হয়েছে এবং কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্তকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে সকল সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভার্চুয়াল আইন-শৃংখলা সভায় নাটোর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোক্তার হোসেন আদালতের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আনলে জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ বলেন, জনস্বার্থে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

এ বিষয়ে নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিভেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তীতে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দিবো ।