অবশেষে সেই ডিজিটাল চোর আতিক গ্রেপ্তার

শেখ রাসেলঃ

রাজধানীর রূপনগর থানাধীন এলাকা হতে প্রতারক চক্রের ০১ সদস্য’কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরস্থ রূপনগর থানাধীন ইষ্টার্ণ হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি ট্যাব, ০১ টি মোবাইল, ০১ টি ওয়াইফাই রাউটার, ০২ টি আইডি কার্ড, ৫০ টি ভিজিটিং কার্ড ও ০৫ টি হার্ড ফাইলসহ নিম্নোক্ত ০১ প্রতারক’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ (ক) মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (৩৯), জেলা- পটুয়াখালী ৩। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (৩৯) ১৯৮২ সালে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবত সিদ্ধিরগঞ্জ স্থানীয় স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা খুলে তিনি নিজেই তার প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। কথিত মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে তার পরিচয় হয়। মূলত সেখান থেকেই তার প্রতারণা কার্যক্রম শুরু হয়।

ধৃত আসামী বিভিন্ন ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভুয়া পরিচয় দিয়ে দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী অফিস খুলে চাকুরী দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধার এই সমস্ত কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের নিকট হতে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করে আসছে। দেশের বিভিন্ন নিরীহ ও সাধারণ মানুষ কে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের ব্যবহার করে জোরপূর্বক জমি ও টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তা আত্মসাত করতো। সে চলাফেরা করেন আলিশান গাড়িতে, সব সময় যেনো মিটিং লেগেই আছে। এই আতিকুর রহমান আতিক তার সুন্দর চেহারার মোহে বিভিন্ন নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সেগুলোর গোপন ভিভিও ধারণ করে তাদেরকে ফাঁদে ফেলত এবং সেই ভিডিও কাজে লাগিয়ে সে নারীদেরকে বিভিন্ন অপকর্মে কাজ করাতে বাধ্য করত। এছাড়া সে বিভিন্ন এলাকার নারীদের সাথে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। এই পর্যন্ত সে বিভিন্ন এলাকায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে মোট ০৮ জন নারীকে বিবাহ করেছে বলে জানা যায়।

তাদের সাথে কিছু দিন সম্পর্ক রাখার পর প্রতারণাপূর্বক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় তার নামে একটি ধর্ষন মামলা রয়েছে। ৪। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি এসবের সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।