ক্যান্সারে মৃত্যু কমেছে আমেরিকায়

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিঃ

ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কমেছে আমেরিকায় । ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মৃত্যু কমেছে ২.৩%। এটি হচ্ছে সর্বশেষ তথ্য-যা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ‘দ্য জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট’। ২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সালের প্রতি বছরের মৃত্যুর যে তথ্য সিডিসির ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ ইন্সটিটিউট’ প্রকাশ করেছে তার ভিত্তিতে পর্যালোচনামূলক এ প্রতিবেদন তৈরী করেছে জার্নালটি। 

এতে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০১৫ সালের প্রতি বছর গড় মৃত্যু কমেছে ১.৮% করে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতি বছর মহিলা রোগীর মৃত্যুও কমেছে ২.১% হারে। ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১.৪%। অর্থাৎ ক্যান্সারের চিকিৎসায় যুগান্তকারি উৎকর্ষসাধিত হচ্ছে। সকল বর্ণ, সম্প্রদায় এবং জাতির মানুষের মধ্যেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কমলেও শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ রোগীর মৃত্যু এখনো বেশি হচ্ছে।

ঐ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রেন ক্যান্সার, নার্ভাস সিস্টেমে ক্যান্সার এবং প্যানক্রিয়া ক্যান্সারে আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা এখনও দুষ্করই রয়েছে। পুরুষের ওরাল এবং থ্রোট ক্যান্সার বেড়েই চলছে। অপরদিকে মহিলাদের মধ্যে লিভার ও জরায়ু ক্যান্সার ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।  

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, ক্যান্সারের চিকিৎসা-ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটলেও অস্বাভাবিক মোটা মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি ঘটতে যারে উদ্বেগজনকভাবে। আর এই ধরনের ক্যান্সারের মাত্রা অত্যধিক ধূমপায়ীদের চেয়েও বেশি হতে পারে। যদিও ইতিমধ্যেই নানাবিধ কারণে ব্রেস্ট ও কলোন ক্যান্সারের আক্রমণ অনেকটাই কমেছে। এখন চিকিৎসা-বিশেজ্ঞরা ‘অতিশয় স্থূলতা’কে ক্যান্সারের অন্যতম অবলম্বন হিসেবে ভাবছেন।

লোকজনকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে হিসাব করে খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে। করোনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই অধিক মাত্রায় খাবার গ্রহণ করছেন অথচ শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কোন কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। অনেক মানুষের ঘরে ব্যায়ামের আসবাবপত্রও নেই।

চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা এসব বিষয়কে অতিশয় মোটা হবার একটি কারণ হিসেবে ভাবছেন ।