নাটোরে অনলাইনে প্রায় ৭৪ কোটি টাকার পশু বিক্রি

সালাহ উদ্দিনঃ

আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নাটোরে অনলাইনে ৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার পশু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মোস্তফা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, করোনা সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমকে। চালু হয় অনলাইন পশুর হাট। গত বছর তেমন সাড়া না মিললেও এবার জমে উঠে অনলাইন পশুর হাট। পাল্লা দিয়ে চলছে প্রচলিত পশুর হাটও। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানি ঈদ ঘিরে অনলাইনে ১৬ হাজার ৩৮৩টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৭ হাজার ও ছাগল-ভেড়া ৮ হাজার ৯৪৪ টি।

এসব পশুর দাম ৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩হাজার টাকা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মিলিয়ে ৬৪০টি অনলাইন পশুর হাট চালু ছিল। এসব হাটে ৮২ হাজার ১০৭ টি গবাদিপশুর ছবিসহ বিবরণ আপলোড করা হয়েছে এবং আজকেই অনলাইনে পশুর হাট শেষ হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, অনলাইন হাট বেশ সাড়া ফেলেছে। লকডাউনের কারণে আমরা আমাদের খামারীদের আগে থেকেই সক্রিয় করেছিলাম। আমরা অনলাইনে সক্রিয় থাকার কারণে গত ৯ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহস্রাধিক ব্যবসায়ী এখানে আসেন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি থেকেও অনলাইনে দেখে গরু নিয়ে গেছে ব্যাপারীরা। অনলাইন হাটে আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গরু-মহিষের তথ্য আপলোড হয়েছে ৮২ হাজার ১০৭টি পশুর। ছাগল-ভেড়া আপলোড হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০৩। মোট আপলোডকৃত পশুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৬হাজার ৪৮৩ টি। তবুও অধিকাংশ পশু প্রচলিত হাটেই বিক্রি হবে। তিনি আরো বলেন, এবার জেলায় কোরবানির জন্য ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৮ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪ টি এবং ছাগল ২ লাখ ১৫ হাজার।

এছাড়া জেলায় সর্বোচ্চ গুরুদাসপুর উপজেলায় ৮৩ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে এবং বিক্রির শীর্ষেও রয়েছে এ উপজেলা। এখান থেকে নদী পথেও ঢাকায় গরু গেছে ব্যাপারীরা। এছাড়া শুধু গুরুদাসপুর উপজেলা থেকেই ৩শত এর বেশি ট্রাক ছেড়ে গেছে।

এদিকে, লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রাণিসম্পদের নির্দেশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থায়ী হাট ছাড়াও অস্থায়ী ১৫ টি হাট বসেছে। কোরবানির ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকায় মানুষ হয়েছে হাটমুখি। এর মধ্যে এসব প্রচলিত পশুর হাট গুলোও জমে উঠেছে।