বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন বাকেরগঞ্জের মানবিক ওসি আলাউদ্দিন।

মোঃ রাব্বী মোল্লা,(বরিশাল) বাকেরগঞ্জঃ
বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়ে পর পর দুই মাসেই জেলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার মানবিক অফিসার ইন চার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন।
বরিশাল জেলা পুলিশের জুলাই-২০২১ মাসের অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যান ও অপরাধ দমন সভা বুধবার ১১(আগষ্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল জেলা পুলিশ
সুপার এর পক্ষে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ শাহজাহান হোসেন।
সভায় বরিশাল জেলায় অপরাধ দমন, মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন, পলাতক আসামী গ্রেফতার, স্পর্শকাতর মামলার অগ্রগতিসহ সামাজিক কাজের জন্য জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইন চার্জ হিসেবে জাতিসংঘ সনদপ্রাপ্ত বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলনের নাম ঘোষণা করেন।
সভা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ শাহজাহান হোসেন বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলনের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন।বাকেরগঞ্জে ওসি আলাউদ্দিন মিলন যোগদানের পরে বদলে গেছে বাকেরগঞ্জ থানার চিত্র। বরিশাল জেলার মধ্যে অন্যতম একটি থানা  বাকেরগঞ্জ। যেই বাকেরগঞ্জ ছিল একসময় বরিশালের জেলা শহর। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে জেলা। কিন্তু বরিশাল বিভাগের মানুষের কাছে বাকেরগঞ্জ নামটি খুব চিরচেনা। থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলাউদ্দিন মিলন। পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে।বাকেরগঞ্জ থানার ভিতরে বহু বছরের পুরনো পুকুরটি খনন করে গোসল করার জন্য আধুনিক সুসজ্জিত টাইলস দিয়ে ঘাটলা নির্মাণ বাস্তবায়ন করেছেন ওসি আলাউদ্দিন মিলন। ঘাটলার পাশে থানায় আসা লোকজনের জন্য বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মানও বেড়েছে। থানার মূল ভবনে রং-তুলির আঁচর আর থানা চত্বরে ময়লা পরিষ্কার করায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন। এই স্থাপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন। বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলনের সৃজনশীলতায় বদলে গেছে বাকেরগঞ্জ থানার চিত্র।বাকেরগঞ্জ থানার আইন শৃংখলার উন্নয়নে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ছিনতাই, মাদক সহ সকল ধরণের অপরাধ কার্যক্রমকে কঠোর হস্তে দমনে কৌশলী অভিযানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক অপরাধীদের গ্রেফতার করে বাকেরগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বল্প সময়েই আলোচনার মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন- বাকেরগঞ্জ থানার  অফিসার ইনচার্জ সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা ওসি আলাউদ্দিন মিলন। ইতি মধ্যেই তার এই গ্রেফতার অভিযানে বাকেরগঞ্জ থানা এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, হত্যা মামলার আসামীসহ অপরাধীদের মাঝে আতংক হিসেবে বিরাজ করায় স্থানীয় দাগী অপরাধীরা গাঁ-ঢাকা দিতে শুরু করেছে। মাদক ও ছিনতাইকারীদের নির্মূলে তিনি অবিরাম ভাবে অভিযান চালিয়ে যাওয়ায় বাকেরগঞ্জবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সূত্র জানায়- ইতি পূর্বে বাকেরগঞ্জ থানা এলাকার পৌরসভা সহ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্পটে মাদকাসক্ত মাতালের মাদক বেচাকেনার মহড়ার কারণে সাধারণ মানুষ পথ চলতে আতংকে থাকতে হত। তবে ওসি আলাউদ্দিন মিলন এই থানায় যোগদানের পর থেকে তার কৌশলী ও দিন-রাত টহলের ফলে এসব স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় স্থানীয় এবং পথচারী মানুষের মাঝে তিনি অল্প কয়েকদিনেই ব্যাপক প্রশংসার দাবীদার হয়ে উঠেছেন। বাকেরগঞ্জের স্থানীয় আমজনতার ভাষ্য মতে- যোগদানের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত  ওসি আলাউদ্দিন মিলন যেভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে আইন শৃংখলা রক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে বাকেরগঞ্জের মত একটি ক্রাইমজোন এলাকাকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ, ছিনতাই, মাদকসহ শীর্ষ অপরাধ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন- তাতে আগামীদিনে তার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অপরাধমুক্ত দেশ গড়ার সরকারের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার কর্ম দক্ষতা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয় গন্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অভিমত। ওসি আলাউদ্দিন মিলন বাকেরগঞ্জ থানা এলাকার অপরাধ নির্মূলে বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন এ থানায় যোগদানের পরে সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে, বাকেরগঞ্জ থানা ও পুলিশ হয়ে উঠেছে এ উপজেলার মানুষের আস্থার ঠিকানা। পুলিশ জনগণের বন্ধু তা নিঃসন্দেহে প্রকাশ করলেন ওসি আলাউদ্দিন মিলন।করনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন বাকেরগঞ্জের ওসি আলাউদ্দিন মিলন। তার এই ভূমিকা ইতিমধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নিজের জীবনের মায়া না করে দিন রাত ছুটে চলেছে করোনার সাথে যুদ্ধ করে। মানুষকে সচেতন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, বাকেরগঞ্জ থানা এলাকায় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করা, আইন শৃংখলা বজায় রাখা, গোপনে অসহায় মানুষের বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সহ নানা কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ওসি আলাউদ্দিন মিলন এর নির্দেশে বাকেরগঞ্জ থানার অন্যান্য অফিসাররা ছুটে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন বাজার, মহল্লা, এলাকায়। সার্বক্ষনিক পুলিশ বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরে ছড়িয়ে থেকে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। 
এছাড়া সাধারণ জনতার মাঝে দীর্ঘ দিনের যে সংশয় ছিল, ‘ভয়, পুলিশ সহযোগীতার কাজে টাকা লাগে’ এ সংশয়ও তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ওসি আলাউদ্দিন মিলন যোগদানের পর থানায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারণে জিডি’র প্রবণতা।সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি। সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ। মোঃ আলাউদ্দিন মিলন থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদারকিসহ অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলেছে। শুধু তাই নয় বাকেরগঞ্জের সড়কগুলো দুর্ঘটনা ও যানজট মুক্ত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, পুলিশ জনতার সেবক, সঠিকভাবে জনগনের সেবা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। জনগন যাতে ভালো থাকতে পারে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি। তাই এই করোনা ভাইরাসের মধ্যেও নিজের জীবনের পরোয়ানা না করে কিভাবে জনগন ভালো থাকতে পারে সে চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন দরিদ্র অসহায় মানুষকে নিজ অর্থায়নে সাহায্য ও সহোযোগীতা করে চলেছি। কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা তিনি সজাগ আছেন।